অন্ধকারের ডাক: মধ্যরাতের ২:৩৪ মিনিটের রহস্য"
আমি কখনো ভূত-প্রেতে বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু ২০২৩ সালের ১৭ই জুন, ঠিক রাত ২টা ৩৪ মিনিটে, সব বদলে গেল।
ঢাকার পুরনো অংশে অবস্থিত সেই বাড়িটি দেখতে একদম সাধারণ ছিল - তিনতলা, লাল ইটের গাঁথুনি, সামনে একটা ছোট বারান্দা। কিন্তু স্থানীয়রা এটাকে "শয়তানের ঘর" নামে ডাকত। প্রথম দিনই আমার অজান্তে সেখানে রাত কাটাতে হয়েছিল।
ঘটনাটা শুরু হয়েছিল রাত ২:৩৪ মিনিটে। আমি হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে দেখি আমার শয়নকক্ষের দরজা খুলে গেছে। আশ্চর্যের বিষয়, আমি নিশ্চিত ছিলাম দরজাটা আগে বন্ধ ছিল। আরও অবাক করা বিষয়, পরের রাতেও একই সময়ে একই ঘটনা ঘটল। তৃতীয় রাতে আমি জেগে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম।
ঘড়ির কাঁটা যখন ২:৩০ বাজল, আমি দরজার দিকে তাকিয়ে রইলাম। ঠিক ২:৩৪ মিনিটে, কোনো শব্দ ছাড়াই, দরজার হাতলটা ধীরে ধীরে নিচে নামল, আর দরজাটা নিজে থেকেই খুলে গেল! আমার গা ছমছম করে উঠল।
পরদিন সকালে বাথরুমের ট্যাপ চালু করতেই লাল পানি বেরুতে শুরু করল। পানির বদলে যেন রক্ত পড়ছিল! স্থানীয় একজন বৃদ্ধ আমাকে বলেছিলেন, ১৯৮২ সালে এই বাড়িতে এক মহিলা আত্মহত্যা করেছিলেন।
কিন্তু সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা ছিল রান্নাঘরে। একদিন রান্না করার সময় পিছনে কারো থাকার অনুভূতি পেলাম। ফিরে তাকাতেই আয়নায় একটা অস্পষ্ট ছায়া দেখতে পেলাম যে আয়নায় "চুপ থাক" কথাটা লিখে রেখে গেল!
স্থানীয় লাইব্রেরিতে গবেষণা করে জানতে পারলাম, ১৯৮২ সালে এই বাড়িতে একটি পারিবারিক হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। মজার ব্যাপার, প্রত্যেকটি অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটে ঠিক ২:৩৪ মিনিটে।
আমি এখনো জানি না সেদিন যা দেখেছি তা কি সত্যি ছিল নাকি আমার মস্তিষ্কের ভুল। কিন্তু একটা বিষয় নিশ্চিত - আমি আর কখনো রাত ২:৩৪ মিনিটে জেগে থাকি না।
Comments
Post a Comment